আগুনে মেজাজে প্রীতমরা, ঝাঁজ নেই মশালে

0

আসছে ডার্বি। আগুনে মেজাজে এটিকে মোহনবাগান। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করলেও এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলারদের চেহারায় ক্লান্তি ধরা পড়েছিল। কোভিড ক্লান্তি, ফিটনেসের অভাব দেখা গিয়েছিল বাগান ফুটবলারদের মধ্যে। শনিবারের ডার্বি ঘিরে উত্তেজনায় বোমাস, শুভাশিসরা। চোটের কারণে মেগা ডার্বিতে রয় কৃষ্ণার খেলা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।
২৯ তারিখ ডার্বি ম্য়াচের ৭২ ঘণ্টা আগে কি এই হাইভোল্টজ ম্য়াচ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাগানের তিন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়।দলের অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বলছেন, আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল একবারও আমাদের হারাতে পারেনি। অপরাজেয় তকমা ধরে রাখাই এখন আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। অনেকেই বলছেন, ওঁরা হায়দরাবাদের কাছে চার গোল হজম করায় আমরাই এগিয়ে। তবে ঘটনা মোটেই সেরকম নয়। বর্তমান স্কোয়াডের সবথেকে বেশি ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি, ডার্বির কোনও আগাম ভবিষ্যৎবাণী হয় না। কেউ এগিয়েও থাকে না। আমরা শেষ দুই ম্যাচে ড্র করলেও ডার্বি জেতার বিষয়ে অবশ্য বেশ আশাবাদী। রক্ষণ যদি আঁটোসাঁটো রেখে যদি গোল হজম না করতে পারি, তাহলে গোল আমরা পাবই।"


হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গল ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হলেও বিপক্ষকে সহজ ভাবে দেখছেন না বোমাস। ফিরতি ডার্বি জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ফরাসি ফুটবলার। হুগো বোমাস বলেন, 'এবার পরিস্থিতি একটু আলাদা। ফুটবলের পাশাপাশি অনেকগুলো দিকে ফোকাস থাকবে। আমরা অনেকদিন প্র্যাকটিসের মধ্যে ছিলাম না। তাই কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের ছন্দে ফিরতে হবে। ডার্বিতে সবসময় বাড়তি মোটিভেশন থাকে। আমরা ম্যাচটা জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। ওড়িশার কাছে আমরা আটকে গিয়েছি ঠিকই। কিন্তু গোলের প্রচুর সুযোগ নষ্ট হয়েছে। আমরা গোলের একাধিক সুযোগ তৈরি করছি। এটাই আমাদের দলের পজিটিভ দিক। সেগুলো কার্যকর করতে হবে।'
এদিকে পুরানো দলকে নিয়ে আশাবাদী নন
মানলো দিয়াজ। তিনি বলেন,"দেখা যাক খেলা কেমন গড়ায়। আমার মতে, ওরা পারবে না।"
আইএসএলে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। কী কারণে লাল-হলুদে সাফল্য এল না? জবাবে দিয়াজ বলেন," আমি ইতিমধ্যেই জানিয়েছি যে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মান নেই। ম্যানেজমেন্টই দায়ী এমন দল তৈরি করার জন্য। আমরা কেবল খেলোয়াড়দের দোষ দিতে পারি না।আমি এই দলের বর্তমান কোনও খেলোয়াড়কে সই করাইনি। আমি কেবল দুজনের নাম সুপারিশ করেছিলাম, এক ড্যারেন সিডোয়েল, আর দ্বিতীয়জন হলেন আন্তোনিও পেরোসেভিচ। এই দলটির সেই গভীরতা নেই আইএসএলের মত শীর্ষস্থানীয় লিগে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মত। দলটা খুব খারাপভাবে তৈরি হয়েছে।

ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয় ট্রান্সফার উইন্ডোতে সই করালো তরুণ স্ট্রাইকার রাহুল পাসোয়ানকে। বৃহস্পতিবার বড়সড় ঘোষণায় লাল হলুদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, বাকি মরশুমের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন তিনি

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)