সীমিত ক্ষমতা নিয়ে লড়াই চালিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। জামশেদপুর ম্যাচে এগারোজন ভারতীয় ফুটবলারকে নিয়ে দল নামান এসসি ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্বর্তী কোচ রেনেডি সিং। এ ছাড়া অবশ্য তাঁর সামনে কোনও উপায় ছিল না। কারণ, দলের বিদেশিরা সবাই আনফিট। অর্ধেক ফিট ড্যারেন সিডোলকে রাখা হয় ডাগ আউটে। তাঁকে দ্বিতীয়ার্ধে নামানো হয় আদিল খানের চোট লাগার পরে।একইসঙ্গে রেনেডির দাবি, 'আমাদের নিজেদের দক্ষতায় যথেষ্ট ভরসা আছে এবং সকলেই ভারতীয়রা কী ভাবে লড়াই চালিয়েছে, তা চাক্ষুষ করেছেন। আমরা জানতাম যে প্রতিপক্ষ দলে আমাদের থেকে অনেক ভাল বিদেশি ফুটবলার রয়েছে। কিন্তু দলবদ্ধভাবে আমরা লড়াই করি। ভারতীয়দের নিজেদের দক্ষতার ওপর আস্থা রাখতে হবে, যে আমরাও পারি।'৮৮ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করেও জামশেদপুর এফসি-র কাছে হেরে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ০-১ গোলে হারল রেনেডি সিং-এর দল। খেলার শেষ লগ্নে গ্রেগ স্টুয়ার্টের কর্নার থেকে জামশেদপুরের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ঈশান পান্ডিতা।
সুপার সাব হিসেবে এবারের আইএসএলে গোল করা প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন ঈশান। এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে লিগ শীর্ষে উঠে এল জামশেদপুর এফসি।
অন্যদিকে, পঞ্চম হারে যথারীতি লিগের লাস্টবয় এসসি ইস্টবেঙ্গল।
দলের লড়াইয়ের পর ড্রই সঠিক ফলাফল হতে বলে দাবি রেনেডির। তবে ফুটবলারদের দায়বদ্ধতা এবং লড়াইয়ের অভিভূত প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক। '৮৮ মিনিটে গোল খাওয়াটা হজম করা খুবই কঠিন। তবে আমার ফুটবলাররা যেমন লড়াই করেছে, তাতে আমি গর্বিত। ওরা অনবদ্য দায়বদ্ধতা এবং লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। এমনভাবেই লড়াই চালিয়ে গেলে আমরা উন্নতি করবই।' এদিকে বিতর্ক যেন কিছুতেই কমছে না লাল হলুদে। ফুটবলারদের প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে রেগে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল সিইও শিবাজি সমাদ্দার। একে পর পর হার। তার উপর ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন অদক্ষতার কারণে ফুটবলাররা রীতিমতো ক্ষুব্ধ।
