ফের হার লাল হলুদের। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে অবধি লড়েও হারতে হল তাদের। ৮৯ মিনিটে গোল করেন জামশেদপুরের পণ্ডিতা। তাঁর গোলেই হার ইস্টবেঙ্গলের।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয়। একটা সময় মনে হয়েছিল এক পয়েন্ট অন্তত পাবে লাল হলুদ। কিন্তু সেটাও জুটল না। মাঠের বাইরে দলের হাল আরও খারাপ।
নির্বাসন কমলো না পেরোসোভিচের। 5 ম্যাচ ব্যান করা হয়েছিল লাল হলুদ ফুটবলারকে। সেটাই রইলো। শাস্তি কমাতে আবেদন করেছিল এসসি ম্যানেজমেন্ট। ফেডারেশনের আপিল কমিটির সদস্যরা একটু নরম হয়েছিলেন। তাও শাস্তি কমলনা কেন? খবর নিতে গিয়েই আসল খবর বেরিয়ে পড়ল। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে শ্রী প্রতিনিধি ছিলেন ই না। সিইও শিবাজী সমাদ্দার দলের সঙ্গে গোয়া তে আছেন। তাঁকে মেল করে মিটিংয়ের সময় জানিয়ে দিয়েছিল ফেডারেশন। তাও তিনি ছিলেন না। ক্ষুব্ধ কর্তারা ঠিক করেছেন কোনো শাস্তি কমবে না। মাঠে দলের হাল খারাপ। আর মাঠের বাইরে ম্যানেজমেন্টের হাল বেহাল।
নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মেজাজ হারিয়ে রেফারিকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য পাঁচ ম্যাচ নির্বাসনের খাঁড়া নেমে এসেছিল পেরোসেভিচের উপরে। সেই সঙ্গে এক লক্ষ টাকার জরিমানা। আইএফএফের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি লাল হলুদের আর্জি খারিজ করে স্পষ্ট জানায় ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকারের নির্বাসন বহাল থাকছে। বরং আর্জি জানানোর ব্যয় হিসাবে ৬০,০০০ টাকা দিতে হবে কলকাতার অন্যতম প্রধান ক্লাবটিকেই। আইএসএলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয় - " ১০ই জানুয়ারি এআইএফএফের অ্যাপিল কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে আর্জি খারিজ করেছে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। "
