ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টেস্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রথম ইনিংসে ১৩ রানের লিড নিল ভারত। ভারতের ২২৩ রানের জবাবে ২১০ রানে শেষ হল প্রোটিয়া ইনিংস।
৪২ রানে ৫টি উইকেট তুলে নেন বুমবুম বুমরাহ। এই নিয়ে টেস্টে মোট সপ্তমবার এই নজির গড়লেন ভারতীয় পেসার। তবে আলাদা করে বলতে হয় আরেক পেসার শামির কথাও। বাভুমা (২৮) ও কাইলকে (০) একই ওভারে তুলে নিয়ে বাংলার পেসার জোর ধাক্কা দেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয় দিন ২১০ রানে আটকে দিল টিম ইন্ডিয়া। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন কেগান পিটারসেন (৭২)। ৫টি উইকেট নিয়েছেন জশপ্রীত বুমরা। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মহম্মদ সামি ও উমেশ যাদব। কোনও উইকেট পাননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
দ্বিতীয় দিন ভারত দ্বিতীয় ইনিংসের ১৭ ওভার ব্যাট করেছে। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও কেএল রাহুলের উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে ভারত। ক্রিজে বিরাট কোহলি (১৪*) ও চেতেশ্বর পূজারা (৯*)।
, তার আগে ভারতীয় বোলাররা এদিন বেশি দূর এগোতে দেননি দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের। বিশেষ করে জসপ্রীত বুমরা। ৪২ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে তিনিই ব্যাকফুটে ঠেলে দেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এই নিয়ে ৭ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন তিনি। একটি মাইলস্টোন স্পর্শ করলেন বিরাট কোহলিও। টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ টি ক্যাচ নিলেন তিনি। ষষ্ঠ ভারতীয় হিসাবে এই নজির গড়লেন কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসে লড়াই করে গেলেন কিগান পিটারসেন। ৭২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে পাল্টা আঘাত হানেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা। মায়াঙ্ক আগরওয়াল, কেএল রাহুলকে দ্রুত সাজঘরে ফিরিয়ে দেন। দু'দলের বোলাররাই দারুনভাবে জমিয়ে দিয়েছেন ম্যাচ ও সিরিজকে। এদিকে,
সমালোচনা মাঝেও রাহানের পাশেই কিন্তু দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তিনি আরও সুযোগ পাবেন, সে ব্যপারেও ইঙ্গিত ভারতীয় দলের তরফে। ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর বলেন, 'আমি এটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে রাহানেকে এর পরেও একের বেশী সুযোগই দেওয়া হব। তাড়াহুড়োতে কোনও সিদ্ধা্ন্তই নেওয়া হবে না'।
এদিকে,
বুধবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ভীষণই আক্রমণাত্মক মেজাজে বিরাট কোহলি। দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই আম্পায়ারের সঙ্গে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লেন। ঘটনার সূত্রপাত মহম্মদ সামিকে আম্পায়ারের সতর্ক করা নিয়ে। ফলো থ্রুর সময় সামি নাকি পিচের বিপজ্জনক জায়গায় ঢুকে পড়েছেন। তাই তাঁকে সতর্ক করা হয়। এটাই মেনে নিটে পারেননি ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে এসে তিনি প্রতিবাদ জানান। তাঁর যুক্তি ছিল, সামি কোনও ভাবেই বিপজ্জনক জায়গায় ঢুকে পড়েননি। রিপ্লেতেও দেখা যায়, নিজেকে সামলে নিয়েছেন সামি। সে কারণেই তীব্র প্রতিবাদ করেন কোহলি। তখন দারুন ছন্দে বোলিং করছিলেন সামি। এই ঘটনায় যাতে তাঁর ছন্দ নষ্ট না হয়ে যায়, তাই সোচ্চার হয়ে ওঠেন কোহলি।
