আর বিদেশে নয় বরং ভারতের মাটিতেই হবে ২০২২ সালের আইপিএল। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও দশ দলের কর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনার শেষে নাকি এটাই ঠিক হয়েছে। একটি মহলের দাবি, আগামী ২৭ মার্চ থেকে আইপিএল শুরুর প্রস্তাব উঠে এসেছে।
এদিন বোর্ডের সেই সূত্র সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন," আপাতত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, ব্রেবোর্ন স্টেডিয়াম এবং ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ম্যাচগুলি হওয়ার কথা রয়েছে।
কিছু দিন আগে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায়
বিকল্প ভেন্যু হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কথা ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু বোর্ড সূত্রের খবর, দেশের করোনা পরিস্থিতির যদি তেমন উন্নতি নাও হয়, তাও আসন্ন আইপিএল দেশের মাটিতেই আয়োজন করবে বোর্ড। মেগা টুর্নামেন্ট বিদেশে সরানোর কথা ভাবা হচ্ছে না।
শনিবার সকালে আইপিএল নিলামের সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল বিসিসিআই।
তারপর শনিবারই বোর্ডের তরফে আগামী আইপিএলে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ক্রিকেটারের সংখ্যা জানিয়ে দেওয়া হল।
কিছু বড় নামও ছিল, যাদের নাম ২ কোটি বেস মূল্যের ৪৯জন খেলোয়াড়ের তালিকার বাইরে ছিল। বেন স্টোকস , ক্রিস গেইল, স্যাম কারান জোফরা আর্চার , ক্রিস ওকস এবং মিচেল স্টার্কের মতো খেলোয়াড়দের নাম এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই খেলোয়াড়রা অতীতে আইপিএলে আরও ভাল পারফরম্যান্স করেছে, তা সত্ত্বেও, এই মেগা নিলামে তাদের ভিত্তি মূল্যে কোনও উল্লম্ফন হয়নি।এই বিরাট তালিকা থেকে ছাঁটাই করে বিসিসিআই ছোট একটি তালিকা তৈরি করবে। সেই তালিকা ধরেই আগামী মাসে বেঙ্গালুরুতে নিলামের আসর বসবে। নিলামে নামার আগে সবচেয়ে বেশি অর্থ থাকছে পাঞ্জাব কিংসের হাতে। তারা নামবে ৭২ কোটি টাকা নিয়ে। ৬৮ কোটি টাকা নিয়ে নিলামে নামছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রাজস্থান রয়্যালস নামছে ৬২ কোটি টাকা নিয়ে। লখনউ দলের হাতে রয়েছে ৫৮ কোটি টাকা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হাতে আছে ৫৭ কোটি টাকা। ৫২ কোটি টাকা নিয়ে নিলামে নামবে আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি। কেকেআর, চেন্নাই এবং মুম্বইয়ের হাতে আছে ৪৮ কোটি টাকা করে। দিল্লির হাতে আছে ৪৭.৫ কোটি টাকা।
আইপিএলের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি আমেদাবাদের অধিনায়ক হচ্ছেন হার্দিক, আরেক নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউয়ের অধিনায়ক হচ্ছেন লোকেশ রাহুল।
