এমনটা যে হবে, আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। তাও, পরের রাউন্ডে ওঠার একটা ক্ষীণ আশা কাজ করছিল বার্সেলোনার ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে। পরের রাউন্ডে উঠতে চাইলে আজ বায়ার্নের মাঠে বায়ার্নের বিপক্ষে জিততে হতো বার্সাকে। কাজটা শুধু কঠিনই নয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে অসম্ভবই বলা চলে।
কিন্তু আশা করতে তো আর দোষ নেই! সেই আশা করেও লাভ হলো না শেষমেশ। বার্সেলোনাকে নিজেদের মাটিতে ৩-০ গোলে হারিয়ে বায়ার্ন নিশ্চিত করেছে, চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিচ্ছে বার্সেলোনা। গ্রুপে তৃতীয় হওয়ার সুবাদে এখন বার্সাকে দেখা যাবে ইউরোপা লিগে। ওদিকে এই গ্রুপ থেকে বায়ার্নের সঙ্গে পরের রাউন্ডে উঠেছে বেনফিকা।
এই গ্রুপ থেকে যে জুভেন্টাস আর চেলসিই পরের রাউন্ডে উঠছে, ব্যাপারটা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু নিশ্চিত ছিল না গ্রুপে এই দুই দলের অবস্থান। গ্রুপের শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই নিজ নিজ ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছিল দুই দল। সে লক্ষ্যে জুভেন্টাস পুরোপুরি সফল হলেও ব্যর্থ হয়েছে চেলসি।
ইতালিয়ান স্ট্রাইকার মইস কিনের গোলে সুইডিশ মালমোকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস। ওদিকে রাশিয়ায় গিয়ে জেনিত সেইন্ট পিটার্সবার্গের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করে এসেছে চেলসি। ড্র করে নিজেদের ঝামেলা উলটো বাড়িয়েছে দলটা।ড্রয়ের কারণেই গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়ে পরের রাউন্ডে উঠেছে চেলসি। আর দ্বিতীয় হয়ে পরের রাউন্ডে ওঠা মানেই অপেক্ষাকৃত কঠিন প্রতিপক্ষের মুখে পড়া। এমনও হতে পারে দ্বিতীয় রাউন্ডে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচ পড়ে যেতে পারে চেলসির। জেনিতকে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থাকলে এ ঝামেলাটা হয়তো এড়াতে পারত তাঁরা।
করোনার জেরে
দল সাজাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে কোচ অ্যান্তোনিও কন্তেকে। ম্যাচের আগে দলের এমন অবস্থা দেখে চিন্তায় টিম ম্যানেজমেন্ট ও দলের সমর্থকেরা।
প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডে টটেনহ্যাম বৃহস্পতিবার ফরাসি দলটির মুখোমুখি হওয়ার কথা। ম্যাচের আগের দিন দলের এমন অবস্থার কথা জানান দলের কোচ অ্যান্তোনিও কন্তে। তিনি বলেন, 'প্রতিদিন আমাদের দলের কেউ না কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। আজকে অনুশীলনের পর আরেকজন খেলোয়াড় ও স্টাফ পজিটিভ হয়েছে। কাল কে? আমি? নাকি আরেকজন স্টাফ?...পরিস্থিতি গুরুতর।' প্রিমিয়ার লিগ খেলা দলটির কোচ কন্তে জানিয়েছেন দলে মোট আট খেলোয়াড় ও পাঁচ জন কোচিং স্টাফ কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন।
