কিন্তু নায়ক হয়ে ওঠার দিনেও ঘোর বাস্তববাদী সবুজ-মেরুনের তরুণ তারকা কিয়ান নাসিরি। তিনি যে শুধু হ্য়াটট্রিক করেছেন, তা তো নয়। সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে হ্যাটট্রিক করার পাশাপাশি, প্রথম ডার্বি খেলতে নেমেই হ্যাটট্রিক, এমনটাও আগে কখনও ঘটেনি। তবে জামশিদ নাসিরির ছেলে কিয়ান কিন্তু বলছেন, 'সেই তিন পয়েন্ট পেয়েও অবশ্য উত্সবে মাততে রাজি নন কিয়ান। তিনি বলেন, 'উত্সব করার মতো কিছু হয়নি। তাই সে রকম কেউ কিছু করিনি। ডার্বিতে জিতে অনেক রাতে হোটেলে ফিরে খাবার খেয়ে সবার মতো আমিও শুয়ে পড়েছি। বাড়ির কারও সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। রবিবার মা ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে বাবার সঙ্গে কথা হয়নি। বাবা মাঠে গিয়েছিলেন ট্রেনিং করাতে। আমার বাবার কোনও খেলা আমি দেখিনি। শুনেছি উনিও ডার্বিতে অনেক গোল করেছেন। বাবার সঙ্গে মাঠে প্র্যাকটিস করেছি। বাবা কখনও কোনও লক্ষ্য বেঁধে দেননি। উনি শুধু বলেন, 'পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই।'
ছেলের ছোট বেলার কথা বলতে গিয়ে জামশিদ নাসিরির বক্তব্য, 'ছোট থেকে ফুটবলের প্রতি কিয়ানের প্রচণ্ড ডেডিকেশন ছিল। তবে, আমি ফুটবল নিয়ে আমি ওকে কোনও পরামর্শ দিই না। আমি জানি না, আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা, ওর খেলা নিয়ে ওকে কিছু বলি না। পুরো ব্যাপারটাই দেখে ওর কোচ। কোচই ওর সেরা অ্যাডভাইসার। উনি যা বলেন, কিয়ান সেটাই মেনে চলে। আমি কোনওরকম মাথা গলাই না।'
এদিকে লাল হলুদে শুধুই অন্ধকার।
রিভেরার প্রাথমিক পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। বাধ্য হয়েই আদপে মিডফিল্ডার অমরজিত্কে পুনরায় রাইট ব্যাকে নামাতে হয় এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। সেটাকেই কাজে লাগিয়ে এটিকে মোহনবাগান ম্যাচ জিতে বেরিয়ে গেল বলে করছেন রিভেরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে মারিও বলেন," এরকম একটা ম্যাচ হারলে তো হতাশ হতেই হবে।
তবে দলের ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত। প্রচুর লড়াই করেছে ওরা। ম্যাচটা আমরা জিততেও পারতাম। যে রকম চেয়েছিলাম, সে রকমই খেলেছে ওরা। শুরুতেই একজন খেলোয়াড়ের চোট হয়ে যাওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়ে যাই। ডিফেন্সে আমাদের পরিবর্তন করার আর কোনও উপায় ছিল না।আমরা যেমনটা চেয়েছিলাম, তেমনভাবেই খেলেছি। তবে প্রথমার্ধেই আমাদের দল (অঙ্কিত) চোটের কবলে পড়ে এবং দলের রক্ষণের এই দুর্বলতাটাই পার্থক্য গড়ে দিল। ম্যাচ হারলে হতাশা তো অবশ্যই হয়। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়েছি এবং ম্যাচ জিততেও পারতাম।
