Satsakal.com
মঙ্গলবার থেকে কেপ টাউনে শুরু হচ্ছে তৃতীয় টেস্ট। ফিট হয়ে ফিরছেন কোহলি, ফলে রিজার্ভ বেঞ্চে ফিরে যাবেন হনুমা বিহারী। পুরো ফিট নন সিরাজ, ফলে তার পরিবর্তে উমেশ এবং ঈশান্তের মধ্যে খেলানো হতে পারে, পন্থের খেলা নিয়েও সংশয় রয়েছ। প্রবল লড়াইয়ে আছেন ঋদ্ধিমান সাহা। দু'বছর ধরে শেষ দু বছর তাঁর ব্যাট হাতে রান নেই ।বিরাট বলেন, আমি একদম ফিট। কালকের ম্যাচে খেলতে কোনো অসুবিধে নেই। নেটেও ছন্দে ছিলাম। ম্যাচেও আশা করি ভাল পারফর্ম করতে পারব।। অফ ফর্ম, তারপর বোর্ডের সঙ্গে তৈরি হয়েছে সংঘাত এই পরিস্থিতিতে মাঠের বাইরের বিতর্ককে ধামা চাপা দিতে ব্যাট হাতে রানে ফিরতেই হবে কোহলি কে। নিজের ক্যারিয়ারে ৯৯ তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবেন ভারত অধিনায়ক ,দুই ইনিংসে ১৪০ রান করতে পারলেই ৮ হাজার পূর্ণ হবে। কিন্তু পরিসংখ্যান বা বাইরের সমালোচনা নয় বিরাটের ফোকাশে শুধুই দলের জন্য পারফৱম্যান্স।কোহলির কথায়, প্রথম নয়, এর আগেও আমার ফর্ম নিয়ে কথা হয়েছে। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর যেমন। বাইরের লোকজন আমাকে যেভাবে আতসকাচ নিয়ে দেখার চেষ্টা করছে, সে ভাবে নিজেকে দেখছি না। আমি নিজের একটা মান তৈরি করেছি। একটা কথা খুব পরিষ্কার, টিমের হয়ে প্রতি ম্যাচেই আমি পারফর্ম করতে চাই। বাইরে আমাকে নিয়ে কে কী বলছে, তা নিয়ে ভাবছি না। নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করার কিছু নেই আমার
প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সিরিজ জিততে হলে ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারকে রান করতে হবে। অতীত ভুলে রাহানে পূজারার জন্য ঢাল করলেন জোহানেসবার্গ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসকে । সমালোচনা হলেও বিরাট অবশ্য ঋষভের পাশেই থাকছেন। ভারত অধিনায়ক বলেন, আমি মনে করি ঋষভ পন্থ তার ভুল থেকে শিখবে এবং একজন ভাল ক্রিকেটার হিসেবে বেরিয়ে আসবে। আমরা ওর সঙ্গে কথা বলেছি। আমি নিশ্চিত যে সে একজন পরিণত ক্রিকেটার। দ্রুত ভুল শুধরে নেবে ও। একইসঙ্গে পেস অ্যাটাক নিয়ে বলেন,যখন ক্যাপ্টেন হয়েছিলাম, ৭ নম্বর টিম ছিলাম আমরা। গত চার-পাঁচ বছরে আমরা এক নম্বরে উঠে এসেছি। একটা নির্দিষ্ট রাস্তা অনুসরণ করেছি। প্রতিটা দিন সেরাটা দেওয়া চেষ্টা করি। আমাদের টিমের পেস বোলিং অ্যাটাক এতটাই ভালো যে, প্রতিটা ম্যাচের আগে দ্বিধায় থাকি, কাকে খেলানো উচিত। আর তার জন্য আমার কম গর্ব নেই। পেসারদের উপর অনেকটাই নির্ভর করেছে আমাদের টেস্ট পারফরম্যান্স।
