করোনা এবার যেন কাউকেই পিছু ছাড়ছে না। যখন যেখানে সুযোগ পাচ্ছে, সেখানেই আক্রমণ করে বসছে এই মারণ ভাইরাস। গতকালই আইএসএলের আসরে এটিকে মোহনবাগানের বেশ কিছু খেলেয়াড়ের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাসের নমুনা। কিন্তু প্রশ্নটা হল অন্য় জায়গায়। আইএসএলে অংশ নেওয়া প্রত্য়েক দলের খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফরা রয়েছেন জৈব বলয়ের মধ্য়ে।
তা সত্ত্বেও কেন তাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্য়েই।
তবে আর কোনো ম্যাচ যাতে স্থগিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর এফ এস ডি এল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই সব দলকে নিয়মাবলী পাঠানো হয়েছে।শোনা যাচ্ছে একটা দলে ১৫ জন খেলোয়াড় থাকলেই ম্যাচ খেলতে হবে। যদি তার কম খেলোয়াড় থাকে বা ম্যাচ অন্যদিন না করা যায়, তাহলে বিপক্ষ শিবিরকে ৩ পয়েন্ট এবং ৩-০ জয়ী ঘোষণা করা হবে।
কোভিড হানার জন্য আই লিগ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছে। তাহলে আইএসএল কেন বন্ধ করা হবে না?গত বছরও পুরো প্রতিযোগিতা করোনা আবহেই আয়োজিত হয়েছিল। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন নর্থ-ইস্ট ইউনাইটডের হেড কোচ খালিদ জামিল ও ডিফেন্ডার আশুতোষ মেহতা। চলতি মরশুমে আইএসএল শুরু হওয়ার সময় কোভিডের বাড়বাড়ন্ত ছিল না। তবুও যাবতীয় নিয়ম মেনেই শুরু হয়েছিল দেশের এক নম্বর ফুটবল প্রতিযোগিতা।
জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে ছারখার হয়ে গেছে। এটিকে মোহনবাগানে চিন্তা বাড়ছে। রয় ,সন্দেশ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। বাকিদের রবিবার ফের রাপিড টেস্ট হয়েছে। রয় কৃষ্ণা র স্ত্রী ও কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। সস্ত্রীক শুভাশিস বোস, কার্ল ম্যাক পজিটিভ। ওদের সবাইকেই দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কার্ড সমস্যায় পরের ম্যাচে নেই হুগো। সবমিলিয়ে প্রবল চাপে ম্যানেজমেন্ট। প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ওড়িশা এফসি। আইএল এলের নিয়ম দেখিয়ে এবার চাপ তৈরি করছেন ওঁরা। এটিকে মোহনবাগান ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেল কেন? লীগের নিয়ম মানলে তাঁদের 3 পয়েন্ট পেয়ে যাবার কথা। আবার যদি ম্যাচ হতো তখন রয়, হুগো, শুভাশিস, কার্ল দের ছাড়া নামতে হতো সবুজ মেরুন কে। এত অগোছালো অবস্থায় আর পাওয়া যাবে না এটিকে মোহনবাগান কে। ওড়িশার হাত কামড়ানোর কথা। এবার পাল্টা প্রশ্ন তুলে লীগ কে চাপে ফেলছেন ওড়িশা কর্তারা।
