বছরের শুরুতেই বিরাট বিস্ফোরণ। ক্রিকেট কেরিয়ারে আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন বিরাট কোহলি। টেস্ট দলের অধিনায়কত্ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিরাট।
এক বিবৃতিতে কোহলি লিখেছেন, 'গত সাত বছর ধরে প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম, একটানা ধৈর্য দেখিয়ে দলকে একটা সঠিক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে এই কাজ করেছি এবং কিছু বাদ রাখিনি। কোনও একটা স্তরে এসে সবকিছুই একসময় থেমে যায় এবং টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে, আমার কাছেও এটাই থেমে যাওয়ার সময়।'
ভারত অধিনায়ক হিসেবে ৪০টি টেস্ট ম্যাচে জিতেছেন ভিকে। বিরাটের কাছে বিশ্বের সেরা টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু হঠাত্ করে লাল বলের ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দেওয়ায়, তা আর সম্ভব হচ্ছে না। অধিনায়ক হিসেবে কোহলির থেকে বেশি টেস্ট জিতেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রেম স্মিথ (৫১টি), অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (৪৮টি) এবং অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়া (৪১)।
ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি জয় রয়েছে কোহলির ঝুলিতেই
। টি-২০ বিশ্বকাপের আগেই ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব ছাড়েন বিরাট। তবে সেসময় ওয়ানডে এবং টেস্টে অধিনায়ক হিসাবে থেকে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। যা নিয়ে বোর্ড এবং কোহলির বাদানুবাদ পর্ব নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে।আর নতুন বছরের শুরুতেই ছাড়লেন টেস্ট এর নেতৃত্ব। এবার থেকে বিরাট একজন ক্রিকেটার হিসেবে খেলবেন ভারতীয় দলে। বিরাট তার বার্তায় জানিয়েছেন,কোনও একটা স্তরে এসে সবকিছুই একসময় থেমে যায় এবং টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে, আমার কাছেও এটাই থেমে যাওয়ার সময়।'কোহলি আরও লিখেছেন, 'এতদিন ধরে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সেই সঙ্গে সমস্ত সতীর্থদের যারা আমার দর্শন বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করে গিয়েছে আর পরিস্থিতি যাই হোক না কেন কখনওই হাল ছাড়েনি। তোমাদের জন্যই এই সফরটা এত সুন্দর আর স্মরণীয় হয়ে রইল। রবি ভাই (রবি শাস্ত্রী) ও সাপোর্ট গ্রুপ যাঁরা টেস্ট ক্রিকেটে ক্রমশ এগিয়ে চলা এই গাড়ির ইঞ্জিন ছিলেন, আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে তুলতে আপনাদের ভূমিকা বিরাট ছিল। বোর্ড সচিব জয় শাহ অবশ্য টুইটারে লিখেছেন, 'ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন হিসেবে বিরাট ক'টা বছর ধরে দারুণ কাজ করেছে। তার জন্য ওকে ধন্যবাদ। বিরাটের নেতৃত্ব পুরো টিম দুরন্ত ফিট হয়ে উঠেছিল। যে কারণে দেশ ও দেশের বাইরে সাফল্য পেয়েছে ভারত। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয় ভীষণ স্পেশাল।'
